পোস্টগুলি

বাংলা ভুতের গল্প লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রাচীন গাছের আড়ালে || ভুতের গল্প

ছবি
শীতল হাওয়া বইছে, গা ছমছম করছে। এমনই এক সন্ধ্যায়, গ্রামের কিশোর সজল তার বন্ধুদের সাথে মজা করার জন্য নির্জন প্রাচীন বটগাছের নিচে আসল। গাছটি গ্রামে অনেক দিনের পুরনো, গাছটির নামও আছে—"প্রাচীন গাছ"। গ্রামের বয়স্করা বলেন, এই গাছের নীচে সন্ধ্যার পর কেউ যেন না যায়। তাদের বিশ্বাস, এই গাছের আড়ালে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, যা মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে। কিন্তু সজল ও তার বন্ধুদের মনে সাহসের অভাব ছিল না। তারা বিশ্বাস করতে চায় না পুরোনো এসব গল্পে। গাছের আড়ালে এসে সজল বলল, "দেখি তো, কে বেশি সাহসী? রাত দশটা বাজলেই গাছের চারপাশ ঘুরে আসব। যে আগে ভয় পাবে, সে হারবে।" বন্ধুরা মুচকি হাসল, কিন্তু তাদের ভেতরে ভয়ের কাঁপন লুকানোর চেষ্টা করল।  ঘড়ির কাঁটা যখন রাত দশটা ছুঁয়েছে, তখন সজল একাই গাছের চারপাশে হাঁটতে লাগল। গাছটির চারপাশটা যেন অন্ধকারে ঢেকে গেছে, আর মাটিতে শুকনো পাতা পড়ে সশব্দে ভেঙে যাচ্ছে। হঠাৎ, সজলের কানে একটা কান্নার শব্দ ভেসে এলো—একটা ছোট শিশুর কান্নার মতো। সে থেমে গেল, কান পেতে শোনার চেষ্টা করল, কিন্তু কিছুই দেখতে পেল না। সজল ভাবল, "কেউ হয়তো মজা করছে।" সে সাহস কর

শিশুর কান্না || ভুতের গল্প

ছবি
শিশুর কান্না || ভুতের গল্প    মধ্যরাতের নিরবতা সবসময়ই রহস্যময় , আর যখন সেই নীরবতায় অজানা কোনও শব্দ ভেসে আসে , তখন তা ভয়ের জন্ম দেয় । এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল নীলাদের নতুন বাসায় উঠার পর । শহরের বাইরে শান্ত পরিবেশে অবস্থিত এই পুরনো বাড়িটি ছিল বেশ সুন্দর , কিন্তু কিছুদিন পরই সেই বাড়ির অদ্ভুত অতীত নীলাদের সামনে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে । নীলা ও তার স্বামী রায়হান এই বাড়িতে উঠার পর থেকেই রাতে অদ্ভুত এক শব্দ শুনতে শুরু করে । প্রথম কিছুদিন তেমন গুরুত্ব না দিলেও , পরবর্তীতে শব্দটি আরও স্পষ্ট হতে থাকে — এটি ছিল একটি শিশুর কান্না । তারা ভেবেছিল আশেপাশের কোনো বাড়ি থেকে হয়তো শব্দটি আসছে , কিন্তু কৌতূহলী হয়ে একদিন বাইরে গিয়ে দেখে , আশেপাশের বাড়িগুলো বেশ দূরে এবং সেখান থেকে কোনও শব্দ আসার সম্ভাবনা নেই । এক রাতে , কান্নার শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে নীলার ঘুম ভেঙে যায় । সে রায়হানকে ডেকে তুলে জানায় , " তুমি শুনছ ? এটা আসলে কোথা থেকে আসছে ?" রায়হানও স্পষ্টভ