পোস্টগুলি

বাংলা গল্প লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তাকাসিসির জাপান অ্যাডভেঞ্চার || সত্যি ঘটনা

ছবি
তাকাসিসির জাপান অ্যাডভেঞ্চার   তাকাসিসি ভেবেছিলেন, “জাপান তো সেফ! একা ঘুরে ঘুরে মন ভরাবো!” তাই একা একাই এসে পড়লেন জাপানে, হাতে মোটা গাইডবুক আর মনে হাজার প্ল্যান। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে, রাস্তার টেম্পুরা খেয়ে, ছবি তুলে, সেলফি দিয়ে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায় হোটেলে ফিরলেন তিনি। হোটেলটা আবার জাপানের এক নামী চেনের— ভাবলেন, “আরাম হবে বুঝি!” কিন্তু ঘরে ঢুকেই মনে হল, কিছু একটা গণ্ডগোল আছে। গন্ধটা যেন একটু বেশি ‘সাসপিশাস’। খাটের নিচে উঁকি দিতেই, চোখ জোড়া যেন ডিজে লাইট! দুটো জ্বলজ্বলে চোখ তাকিয়ে আছে! এক লাফে পেছনে! “আরে বাবা! ভূত না তো?” – চেঁচিয়ে উঠলেন তিনি। কিন্তু ভূত তো নয়! খাটের নিচ থেকে এক রীতিমতো মানুষ বেরিয়ে এল। আরে বাবা! এই তো যেন ‘হিউম্যান ভার্সন অফ হোটেল কমপ্লিমেন্টারি সারপ্রাইজ’! ভদ্রলোক (মানে খাটতলার বাসিন্দা) একবার তাকিয়ে থাকলেন, যেন বলছেন, “এই রুমটা আমার আগে বুক করা ছিল…” তারপর ধুপ করে লাফ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন! তাকাসিসির মুখ তখন ঠিক যেমন কেউ সুপার সাইজড ওয়াসাবি খেয়ে ফেলেছে— ঝাঁঝালো বিস্ময়! তিনি চিৎকার করতে করতে হোটেল কর্মীদের ডাকলেন। হোটেল কর্মীরা এলেন, পুলিশও এ...

ছবির ভেতরের মানুষ || বাংলা ভৌতিক গল্প

ছবি
শুভ একজন প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকায় তার অসম্ভব ভালোবাসা। ঢাকা শহরের ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে সে শহরের বাইরে একটি পুরনো বাড়ি ভাড়া নেয়। বাড়িটা অনেকটাই পরিত্যক্ত, তবে সেখানে একান্তে নিজের মতো করে সময় কাটানো যাবে—এই ভেবেই সে সেখানে থাকতে শুরু করে। বাড়ির ভেতরে ঢুকে শুভ দেখতে পেল একটি ধুলোময় ক্যানভাস ও রংতুলি পড়ে আছে। যেন কেউ অনেকদিন আগে এখানে ছবি আঁকছিল কিন্তু অসমাপ্ত রেখেই চলে গেছে। অদ্ভুত একটা আকর্ষণ অনুভব করে সে সেই ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকতে শুরু করে। বিষয়—একজন নারী, যার চোখ যেন কথা বলে, মুখে রহস্যময় হাসি। কিন্তু ধীরে ধীরে অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে শুরু করে। প্রথম রাতে শুভ ঘুম থেকে উঠে দেখে, ক্যানভাসে নারীর চোখের দৃষ্টি তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে ভাবে হয়তো বিভ্রম। কিন্তু পরের দিন সে দেখে নারীর পোশাকের রং বদলে গেছে, এমনকি পেছনের দৃশ্যেও নতুন কিছু যুক্ত হয়েছে—যা সে আঁকেনি! তৃতীয় রাতে, সে ঘুম থেকে উঠে দেখে, ছবির নারীর মুখে একরকম আতঙ্ক। চোখ যেন তাকে কিছু বলতে চায়। শুভ ভয় পেয়ে যায়। তার মনে হতে থাকে, সে একা নেই। বাড়ির ভেতরে মাঝে মাঝে হালকা পায়ের শব্দ, দরজার খোলা-বন্ধ হও...

বাতিঘরের আলো || বাংলা ভুতের গল্প

ছবি
সমুদ্রের ধারে একটি পুরনো বাতিঘর ছিল, যার আলো শুধু রাতেই জ্বলতো। বহু বছর ধরে সেই বাতিঘরের দায়িত্বে ছিলেন বৃদ্ধ রাখালদা। সবাই তাকে "রাখাল কাকা" বলে ডাকতো। বলা হয়, তার কাজ ছিল রাতের বেলায় বাতিঘরের আলো জ্বালিয়ে রাখা, যেন জাহাজগুলো নিরাপদে বন্দরে আসতে পারে। এক শীতের রাতে, প্রচণ্ড ঝড় উঠেছিল। বাতাসের সঙ্গে তীব্র ঢেউ আছড়ে পড়ছিল বাতিঘরের পাথরের দেওয়ালে। রাখাল কাকা সবাইকে বলে গেলেন, "আজ রাতে একা থাকবো, আলো আমি নিজেই জ্বালাবো।" কিন্তু রাত গভীর হতেই বাতিঘর থেকে এক অদ্ভুত আলো ঝলকানি দেখা গেল, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। পরের দিন সকাল হলে গ্রামের মানুষজন বাতিঘরে গিয়ে দেখলো, রাখাল কাকা নেই! তার পরিবর্তে বাতিঘরের মাঝখানে একটি পুরনো লণ্ঠন রাখা, যেটি কাঁপতে কাঁপতে এখনও জ্বলছে। কেউ বুঝতে পারছিল না কীভাবে লণ্ঠনটি একা একা জ্বলছে। একজন বয়স্ক জেলে বলল, "এই লণ্ঠনেই হয়তো এখন রাখাল কাকার আত্মা বন্দি হয়ে আছে, যিনি এখনো নিজের কাজ ছেড়ে যেতে পারেননি।" এরপর থেকে প্রতিটি ঝড়ের রাতে, বাতিঘরটি রহস্যময় আলোতে ঝলমল করতে থাকে। রাতের বেলা যেসব জাহাজ সেই আলো দেখে এগিয়ে আসে, তাদের দাবি ছিল,...

অপেক্ষার শেষ ট্রেন || বাংলা ভুতের গল্প

ছবি
অপেক্ষার শেষ ট্রেন || বাংলা ভুতের গল্প রাত গভীর হতে শুরু করেছে। স্টেশনে তখন নিস্তব্ধতা। মাত্র কয়েকজন যাত্রী প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। সামনের ট্রেন আসতে কিছু সময় বাকি ছিল। এই সময়েই রাজু নামের এক যুবক প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়াল। সে বাড়ি ফিরবে, তাই রাতের শেষ ট্রেন ধরতে এসেছে। হঠাৎ রাজুর চোখে পড়ল, একটু দূরে এক বয়স্ক লোক বসে আছে। পোশাক-আশাক বেশ পুরনো ধাঁচের, যেন বহু বছর আগের। লোকটি একদৃষ্টিতে রেলপথের দিকে তাকিয়ে আছে। রাজুর মনে কেমন যেন কৌতূহল জাগল। সে লোকটির দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল, “কাকু, এত রাতে এখানে বসে আছেন কেন? কোথায় যাবেন?” লোকটি ধীরে ধীরে মুখ তুলে রাজুর দিকে তাকাল। তার চোখ দুটি যেন ফ্যাকাসে আর গা ছমছমে। কাকু মৃদু হেসে বললেন, “আমি এক সময় এই স্টেশনে কাজ করতাম। সেই ট্রেনের অপেক্ষায় আছি, যেটা আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।” রাজু বুঝতে পারল না ঠিক কী বলতে চায় লোকটি। "কিন্তু কাকু, কোন ট্রেন? এত রাতে তো আর ট্রেন আসে না!" লোকটি গভীর নিশ্বাস ফেলে বলল, “এই ট্রেন অনেক বছর আগে শেষবার এসেছিল। সেই থেকে আমি অপেক্ষায় আছি। প্রতিটি রাত আমি এখানে এসে বসি। এই স্টেশনে বহু বছর আগের একটি...

নিরব কান্না || সুহার জীবনের গল্প

ছবি
রাতের আকাশে একটা ফালি চাঁদ, তার ম্লান আলো মেখে বসে আছে বিশাল অন্ধকার। একপাশে হালকা বাতাসে দুলছে প্রাচীন গাছ, যেটার শিকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করেছে। আর সেই গাছের তলে বসে আছে নিঃশব্দে এক নারী। চোখে তার বিষণ্ণতা, মুখে নিরবতা—এই হলো সুহা। তার চারপাশে নিরবতা, শুধু মনের ভেতরটা ভাঙছে তীব্র কান্নায়। সুহার জীবনের প্রতিটি দিনই যেন একটি নতুন যন্ত্রণার পর্ব। বিয়ের প্রথম দিকে সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে তার স্বামী রবিনের রূপ বদলাতে লাগল। একসময়কার ভালোবাসার মানুষটি আজ এক নিষ্ঠুর, নির্দয় পুরুষে পরিণত হয়েছে। রবিনের প্রতিটি কথায়, প্রতিটি আচরণে সুহা ধীরে ধীরে যেন অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে।  প্রথম প্রথম রবিনের মানসিক নির্যাতন সহ্য করলেও, সুহা ভেবেছিল পরিস্থিতি হয়তো একদিন ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দিন দিন তা বাড়তে থাকল। ছোটখাটো বিষয়ে রবিনের অপমানজনক কথাগুলো তার হৃদয়কে আঘাত করতে লাগল। সে ক্রমশ বুঝতে পারল, এই সংসার তাকে মেনে নিতে চায় না। এমনকি তার শ্বশুর-শাশুড়িও রবিনের দোষগুলোকে ঢাকতে ব্যস্ত থাকেন। তারা তাকে বকাঝকা করেন, বলেন, "তুইই ঠিকভাবে সংসার করতে পারছিস না। রবিন যা করছে, তোর জন্যই করছ...