পোস্টগুলি

জীবনের গল্প লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শাকেরা খালিলির করুণ পরিণতি

ছবি
🕵️‍♀️ শাকেরা খালিলির করুণ পরিণতি: বিশ্বাসঘাতকতায় চাপা পড়ে গেল জীবন 🌟 কে ছিলেন শাকেরা খালিলি? শাকেরা ছিলেন ভারতের এক অভিজাত পরিবার ‘নামাজি’-র সদস্য, দিওয়ান মির্জা ইসমাইলের নাতনি। ১৯৬৫ সালে কূটনীতিক আকবর খালিলির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় এবং চার কন্যার মা হন। পরে ডিভোর্সের পর তিনি বেঙ্গালুরুতে একজন সফল রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তোলেন নিজের নতুন পরিচয়। 💔 বিপজ্জনক দ্বিতীয় বিয়ে ১৯৮৬ সালে তিনি বিয়ে করেন এক ছদ্মবেশী সাধু স্বামী শ্রদ্ধানন্দ -কে। আদতে তার আসল নাম ছিল মুরলী মনোহর মিশ্র। এই ভণ্ড লোকটি ধীরে ধীরে শাকেরার বিশ্বাস অর্জন করে, সম্পত্তির কাগজে সই করিয়ে নেয় এবং তাঁকে পরিবার-বন্ধুবান্ধব থেকে বিচ্ছিন্ন করে তোলে। ❓ হঠাৎ উধাও হয়ে গেলেন শাকেরা ১৯৯১ সালের ২৮ এপ্রিল হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান শাকেরা। স্বামী বলেছিলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। কিন্তু একসময় তাঁর মেয়ে আদালতে ‘হেবিয়াস কর্পাস’ মামলা দায়ের করেন, তবুও তিন বছর পেরিয়ে গেল – কোনও প্রমাণ, কোনও খোঁজ মেলেনি। 🔍 যেভাবে ফাঁস হলো ভয়ঙ্কর সত্য ১৯৯৪ সালে এক চমকপ্রদ ‘স্টিং অপারেশন’-এর মাধ্যমে পুলিশ ঘটনাটি উন্মোচন কর...

তাকাসিসির জাপান অ্যাডভেঞ্চার || সত্যি ঘটনা

ছবি
তাকাসিসির জাপান অ্যাডভেঞ্চার   তাকাসিসি ভেবেছিলেন, “জাপান তো সেফ! একা ঘুরে ঘুরে মন ভরাবো!” তাই একা একাই এসে পড়লেন জাপানে, হাতে মোটা গাইডবুক আর মনে হাজার প্ল্যান। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে, রাস্তার টেম্পুরা খেয়ে, ছবি তুলে, সেলফি দিয়ে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায় হোটেলে ফিরলেন তিনি। হোটেলটা আবার জাপানের এক নামী চেনের— ভাবলেন, “আরাম হবে বুঝি!” কিন্তু ঘরে ঢুকেই মনে হল, কিছু একটা গণ্ডগোল আছে। গন্ধটা যেন একটু বেশি ‘সাসপিশাস’। খাটের নিচে উঁকি দিতেই, চোখ জোড়া যেন ডিজে লাইট! দুটো জ্বলজ্বলে চোখ তাকিয়ে আছে! এক লাফে পেছনে! “আরে বাবা! ভূত না তো?” – চেঁচিয়ে উঠলেন তিনি। কিন্তু ভূত তো নয়! খাটের নিচ থেকে এক রীতিমতো মানুষ বেরিয়ে এল। আরে বাবা! এই তো যেন ‘হিউম্যান ভার্সন অফ হোটেল কমপ্লিমেন্টারি সারপ্রাইজ’! ভদ্রলোক (মানে খাটতলার বাসিন্দা) একবার তাকিয়ে থাকলেন, যেন বলছেন, “এই রুমটা আমার আগে বুক করা ছিল…” তারপর ধুপ করে লাফ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন! তাকাসিসির মুখ তখন ঠিক যেমন কেউ সুপার সাইজড ওয়াসাবি খেয়ে ফেলেছে— ঝাঁঝালো বিস্ময়! তিনি চিৎকার করতে করতে হোটেল কর্মীদের ডাকলেন। হোটেল কর্মীরা এলেন, পুলিশও এ...

নিরব কান্না || সুহার জীবনের গল্প

ছবি
রাতের আকাশে একটা ফালি চাঁদ, তার ম্লান আলো মেখে বসে আছে বিশাল অন্ধকার। একপাশে হালকা বাতাসে দুলছে প্রাচীন গাছ, যেটার শিকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করেছে। আর সেই গাছের তলে বসে আছে নিঃশব্দে এক নারী। চোখে তার বিষণ্ণতা, মুখে নিরবতা—এই হলো সুহা। তার চারপাশে নিরবতা, শুধু মনের ভেতরটা ভাঙছে তীব্র কান্নায়। সুহার জীবনের প্রতিটি দিনই যেন একটি নতুন যন্ত্রণার পর্ব। বিয়ের প্রথম দিকে সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে তার স্বামী রবিনের রূপ বদলাতে লাগল। একসময়কার ভালোবাসার মানুষটি আজ এক নিষ্ঠুর, নির্দয় পুরুষে পরিণত হয়েছে। রবিনের প্রতিটি কথায়, প্রতিটি আচরণে সুহা ধীরে ধীরে যেন অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে।  প্রথম প্রথম রবিনের মানসিক নির্যাতন সহ্য করলেও, সুহা ভেবেছিল পরিস্থিতি হয়তো একদিন ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দিন দিন তা বাড়তে থাকল। ছোটখাটো বিষয়ে রবিনের অপমানজনক কথাগুলো তার হৃদয়কে আঘাত করতে লাগল। সে ক্রমশ বুঝতে পারল, এই সংসার তাকে মেনে নিতে চায় না। এমনকি তার শ্বশুর-শাশুড়িও রবিনের দোষগুলোকে ঢাকতে ব্যস্ত থাকেন। তারা তাকে বকাঝকা করেন, বলেন, "তুইই ঠিকভাবে সংসার করতে পারছিস না। রবিন যা করছে, তোর জন্যই করছ...