তাকাসিসির জাপান অ্যাডভেঞ্চার || সত্যি ঘটনা

তাকাসিসির জাপান অ্যাডভেঞ্চার 


 তাকাসিসি ভেবেছিলেন, “জাপান তো সেফ! একা ঘুরে ঘুরে মন ভরাবো!” তাই একা একাই এসে পড়লেন জাপানে, হাতে মোটা গাইডবুক আর মনে হাজার প্ল্যান।

সারাদিন ঘোরাঘুরি করে, রাস্তার টেম্পুরা খেয়ে, ছবি তুলে, সেলফি দিয়ে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায় হোটেলে ফিরলেন তিনি। হোটেলটা আবার জাপানের এক নামী চেনের— ভাবলেন, “আরাম হবে বুঝি!”

কিন্তু ঘরে ঢুকেই মনে হল, কিছু একটা গণ্ডগোল আছে। গন্ধটা যেন একটু বেশি ‘সাসপিশাস’। খাটের নিচে উঁকি দিতেই, চোখ জোড়া যেন ডিজে লাইট! দুটো জ্বলজ্বলে চোখ তাকিয়ে আছে! এক লাফে পেছনে!

“আরে বাবা! ভূত না তো?” – চেঁচিয়ে উঠলেন তিনি। কিন্তু ভূত তো নয়! খাটের নিচ থেকে এক রীতিমতো মানুষ বেরিয়ে এল। আরে বাবা! এই তো যেন ‘হিউম্যান ভার্সন অফ হোটেল কমপ্লিমেন্টারি সারপ্রাইজ’!

ভদ্রলোক (মানে খাটতলার বাসিন্দা) একবার তাকিয়ে থাকলেন, যেন বলছেন, “এই রুমটা আমার আগে বুক করা ছিল…” তারপর ধুপ করে লাফ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন!

তাকাসিসির মুখ তখন ঠিক যেমন কেউ সুপার সাইজড ওয়াসাবি খেয়ে ফেলেছে— ঝাঁঝালো বিস্ময়! তিনি চিৎকার করতে করতে হোটেল কর্মীদের ডাকলেন।

হোটেল কর্মীরা এলেন, পুলিশও এল, ঘর খুঁজে পাওয়া গেল একখানা পাওয়ার ব্যাঙ্ক আর ইউএসবি কেবল— মানে ভদ্রলোক বুঝি খাটের তলায় থেকে “ওয়ার্ক ফ্রম আন্ডার দ্য বেড” করতেন!

তাকাসিসি সঙ্গে সঙ্গে হোটেল বদলালেন। হোটেলকে বললেন, “এইরকম সারপ্রাইজ চাইনি আমি!” কিন্তু হোটেল বলল, “স্যার, সারপ্রাইজ কমপ্লিমেন্টারি ছিল না, ওটা বাইরের ইনভেন্টরি!”

এখন তাকাসিসি ঠিক করেছেন, পরেরবার হোটেলে ঢুকেই খাটের নিচে একবার ‘হ্যালো’ বলে চেক করবেন— কেউ থাকলে যেন আগে থেকে হাই-হ্যালো হয়ে যায়!

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিরব কান্না || সুহার জীবনের গল্প

প্রাচীন গাছের আড়ালে || ভুতের গল্প

শিশুর কান্না || ভুতের গল্প