বাতিঘরের আলো || বাংলা ভুতের গল্প

সমুদ্রের ধারে একটি পুরনো বাতিঘর ছিল, যার আলো শুধু রাতেই জ্বলতো। বহু বছর ধরে সেই বাতিঘরের দায়িত্বে ছিলেন বৃদ্ধ রাখালদা। সবাই তাকে "রাখাল কাকা" বলে ডাকতো। বলা হয়, তার কাজ ছিল রাতের বেলায় বাতিঘরের আলো জ্বালিয়ে রাখা, যেন জাহাজগুলো নিরাপদে বন্দরে আসতে পারে। এক শীতের রাতে, প্রচণ্ড ঝড় উঠেছিল। বাতাসের সঙ্গে তীব্র ঢেউ আছড়ে পড়ছিল বাতিঘরের পাথরের দেওয়ালে। রাখাল কাকা সবাইকে বলে গেলেন, "আজ রাতে একা থাকবো, আলো আমি নিজেই জ্বালাবো।" কিন্তু রাত গভীর হতেই বাতিঘর থেকে এক অদ্ভুত আলো ঝলকানি দেখা গেল, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। পরের দিন সকাল হলে গ্রামের মানুষজন বাতিঘরে গিয়ে দেখলো, রাখাল কাকা নেই! তার পরিবর্তে বাতিঘরের মাঝখানে একটি পুরনো লণ্ঠন রাখা, যেটি কাঁপতে কাঁপতে এখনও জ্বলছে। কেউ বুঝতে পারছিল না কীভাবে লণ্ঠনটি একা একা জ্বলছে। একজন বয়স্ক জেলে বলল, "এই লণ্ঠনেই হয়তো এখন রাখাল কাকার আত্মা বন্দি হয়ে আছে, যিনি এখনো নিজের কাজ ছেড়ে যেতে পারেননি।" এরপর থেকে প্রতিটি ঝড়ের রাতে, বাতিঘরটি রহস্যময় আলোতে ঝলমল করতে থাকে। রাতের বেলা যেসব জাহাজ সেই আলো দেখে এগিয়ে আসে, তাদের দাবি ছিল,...